আগামী বছর বাংলাদেশিদের জন্য হজের কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ অপরিবর্তিত রেখেছে সউদী সরকার। হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর।,আজ বুধবার সকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আগামী বছরের হজ বিষয়ে প্রাক-প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দাদের সভাপতিত্বে সভায় হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী ও হাব মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার, বাংলাদেশ বিমান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সউদী আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কাউন্সেলর-হজসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী বারের জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হবে এ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে। আর আগামী বছরের ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। সউদী সরকারের কাছ থেকে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় বাড়ি ভাড়া ও সেবা মূল্য ঠিক করার পর আগামী বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। বৈঠকে জানানো হয়, আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে হজের ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল ভিসা ইস্যু বন্ধ হবে। বৈঠকে এবারের হজ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ধর্ম সচিব। সচিব জানান, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য কোটা অনুমোদন করেছে সউদী সরকার।

এদিকে বুধবার পর্যন্ত পবিত্র হজ পালন করে দেশে ফিরেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ১৮ জন হাজী। হজ পালন করতে গিয়ে এবার বাংলাদেশের ১১৯ জন হাজী মারা গেছেন। সউদী নিয়ম অনুযায়ী তাদের সউদী আরবে দাফন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ পালনের জন্য কোটা অনুমোদন করেছিল সউদী সরকার। হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ বার সময় বাড়িয়েও কাঙ্খিত কোটা পূরণ করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রায় ৫ হাজারের মতো কোটা সউদী সরকারকে ফেরত দিতে হয়।